রিজার্ভ নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই : প্রধানমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ৮:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৪, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রিজার্ভ নিয়ে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। তিনি বলেন, অনেকে বলে ব্যাংকে টাকা নাই। সেই আতঙ্কে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে। ব্যাংকের টাকা তুলে ঘরে রাখলে তো চোরে নিয়ে যাবে। চোরের জন্য সুযোগ করে দেওয়া। ব্যাংকে টাকা নিয়ে এই কথাটা মিথ্যা। গতকালকেও আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ওদের সঙ্গে মিটিং করেছি। আমাদের এ বিষয়ে কোন সমস্যা নাই। প্রত্যেকটা ব্যাংকে যথেষ্ট পরিমাণ নগদ টাকা আছে। বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ব্কিালে যশোর শহরের শামস-উল হুদা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি। রিজার্ভ কোথাও যায়নি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কাজে রিজার্ভের অর্থ ব্যয় করা হয়েছে। যুদ্ধের কারণে গম, ভুট্টা, সার প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বেড়েছে আন্তর্জাতিকভাবে। পরিবহন খরচ বেড়েছে। তারপরও আমরা খরচ করছি। আমার দেশে যেন কোন মতে খাদ্য ঘাটতি না দেখা যায়। জনগণকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজবে কখনও কান দেবেন না। আপনারা তো জানেন, বিএনপির কাজ হচ্ছে সব সময় গুজব ছড়ানো। ক্ষমতায় যখন গিয়েছে লুটপাট করে খেয়েছে। ৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি তার আগে ছিল বিএনপি, রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল ২ পয়েন্ট ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করলাম দ্বিতীয় দফায় তার আগে বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, এরপর কেয়ারটেকার। তখন ৫ বিলিয়ন (রিজার্ভ) ছিল। আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের প্রচুর পরিমাণে রেমিট্যান্স আসছে। বিদেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে, আমদানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে, আমাদের ট্যাক্স কালেকশন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের অন্য দেশ যেখানে হিমশিম খাচ্ছে, অর্থনৈতিক মন্দায় ভুগছে সেখানে বাংলাদেশ এখনও যথেষ্ট শক্তিশালী। আজকে আমরা ধান উৎপাদনে সারা বিশ্বে তৃতীয় বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সময় প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করতো। এই ৪০ ভাগ দরিদ্র থেকে আমরা কমিয়ে এনে এটা ২০ ভাগে এনেছি। আমরা যদি আরও কমাতে পারতাম তাহলে বাংলাদেশে আর দ্ররিদ্র বলে কিছু থাকতো না। হতদ্ররিদ্র ২৫ ভাগ থেকে কমিয়ে আমরা ১০ ভাগে এনেছি। কারণ আমরা মানুষের কথা চিন্ত করি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়া যখন মারা যায় তখন কোন কিছু রেখে যায়নি। ভাঙা সুটকেস আর ছেড়া গেঞ্জি। সেই ভাঙা সুটকেস হয়ে গেল জাদুর বাক্স। যা দিয়ে ওই কোকো-তারেক হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আর পাচার করেছে বলেই তারা শাস্তি পেয়েছে। সরকার প্রধান বলেন, সাজাপ্রাপ্ত যে দলের নেতা সে দল জনগণকে কী দেবে বলেন? তারা কিছুই দিতে পারে না, তারা শুধু মানুষের রক্ত চুষে খেতে পারে। এটাই হল বাস্তবতা। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, পিযূষ কান্তি ভট্রাচার্য্য, যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি সদর উদ্দিন খান, ঝিনাইদহ জেলা সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, নড়াইল জেলা সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচর্য্য, যশোরের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, শেখ আফিল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাটের-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, ২ আসনের সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়, ৪ আসনের সদস্য আমিরুল আলম মিলন, শরিয়তপুর-১ আসনের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য পারভিন জামান কল্পনা, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্য, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যাপক নাজমা রহমান প্রমুখ। জনসভা পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: