বিএনপি বিশৃঙ্খলার উদ্দেশ্যে নয়াপল্টনে সমাবেশ চায়: তথ্যমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ১০:১৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উদ্দেশ্য ভালো না। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই তারা ময়দান ছেড়ে নয়াপল্টনের রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়। মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে উন্নয়ন সমন্বয় এনজিওর তামাক বিরোধী মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। উন্নয়ন সমন্বয় চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে এবং আশপাশে এত মাঠ থাকতে ওনারা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চায়, উদ্দেশ্যে কী! নয়াপল্টনে সমাবেশ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে গাড়ি-ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে, জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা যাবে। এ উদ্দেশ্যে তারা নয়াপল্টনে পার্টি অফিসের সামনে ব্যস্ত রাস্তায় সমাবেশ করতে চায়! এর পেছনে হীন উদ্দেশ্য আছে। কোনো বাধাই বিএনপির ১০ ডিসেম্বর সমাবেশকে ঠেকাতে পারবে না’ বলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমরা তো কাউকে কোনো বাধা দিতে চাইনি এবং বাধা দিলে তারা সমাবেশ করতে পারত না। বরং বাধা তারা আমাদের দিয়েছিল। হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি আমাদের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছে, আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে দেশব্যাপী বোমা হামলা চালিয়েছে, বহু মানুষকে হত্যা করেছে। অথচ তাদের মিটিংয়ে কি আজ পর্যন্ত একটি পটকা ফুটেছে! একটা মিটিং পণ্ড করতে দুটি পটকাই যথেষ্ট। যে দিন সভা হয় তার দু-তিন দিন আগে তিন-চারটা পটকা ফুটলেই তো মিটিং পণ্ড। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বতোভাবে সহায়তা করছি যাতে করে তারা ভালোভাবে সমাবেশ করতে পারে এবং তারা ভালোভাবে সমাবেশ করছে। জঙ্গিবাদ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ দেশে জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও অর্থদাতা হচ্ছে বিএনপি। বেগম জিয়া জঙ্গিদের গ্রেপ্তারের বিরোধিতা করেছিলেন এবং বিএনপির জোটের মধ্যেই জঙ্গিগোষ্ঠী আছে। আজকে জঙ্গিদের আস্ফালনের সঙ্গে মির্জা ফখরুল সাহেবের বক্তব্য একসূত্রে গাঁথা। তারা দেশটাকে অস্থিতিশীল করতে চায়, কারণ তারা চায় ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বে যখন যুদ্ধ চলছে, বিশ্ব অর্থনীতি যখন টলায়মান তার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভেতরে ওপর দাঁড়িয়ে আছে। মির্জা ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেব, গয়েশ্বর বাবু তারা যাই বলুক না কেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট এসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে বলে গেছেন- বাংলাদেশ এ সংকটের মধ্যেও যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে এটি অন্য দেশের জন্য উদাহরণ। তিনি বলেন, ফখরুল সাহেব তো শিক্ষিত মানুষ। আমি আশা করব, তিনি একটু পড়াশোনা করবেন, বিশ্ব প্রেক্ষাপট দেখবেন আর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সম্পর্কে কী বলছেন সেটাও শুনবেন। SHARES জাতীয় বিষয়: