আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা রেকর্ড আওয়ামী লীগের : রিজভী News News Desk প্রকাশিত: ৯:৪৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘শত বাধার পরও বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জনতার ঢল নামছে। এ অবস্থায় হঠাৎ করে আতঙ্কিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছেন। তার মানে অতীতের মতোন আবারও সরকার গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের দিয়ে বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মারবে আর তার দায় বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেবে। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই শঙ্কার কথা জানান। রিজভী বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে সরকার নিজেদের লোক-গোয়েন্দা সংস্থাকে দিয়ে বাসে আগুন লাগিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়েছে। এসব ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে আবার আগ বাড়িয়ে শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলছেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রহস্যজনক। বিরোধী দলের আন্দোলন করার সময় আওয়ামী লীগ যে কাজটি করবে সেটাই তারা এখন বলছে। এই কাজ আওয়ামী লীগ বহুবার করেছে। এখন আবার করবে তা আগেই বলে দিচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা রেকর্ড আওয়ামী লীগের। বাসে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ মেরেছে আওয়ামী লীগের এমপি। ২০০৪ সালের ৪ জুন শেরাটন হোটেলের সামনে বিআরটিসি বাসে আগুন দিয়ে ১১ যাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার পেছনে জড়িত ছিলেন নানক-মির্জা আজম। এটা আদালতে প্রমাণিত হয়েছিল। পরে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘জনগণের দল বিএনপি নিয়মতান্ত্রিক-শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিশ্বাসী। তার বহু প্রমাণ রয়েছে। আগুন সন্ত্রাস করেছে আওয়ামী লীগের এমপি, নেতাকর্মী আর গোয়েন্দা সংস্থার লোকরা। আগুন সন্ত্রাসের হোতা আওয়ামী লীগই। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মুখে আবারও আগুন সন্ত্রাসের কথায় জনগণ আতঙ্কিত। হঠাৎ শেখ হাসিনার এ কথা বলার উদ্দেশ্য বিএনপির শান্তিপূর্ণ আন্দোলন নস্যাৎ করা। আবারও আগুন সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে বিএনপির গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমন করার একটা মাস্টারপ্ল্যান আঁকছে শেখ হাসিনা। তাদের একমাত্র পথই হচ্ছে সহিংসতা-সন্ত্রাস। কারণ এ ছাড়া ক্ষমতায় টিকে থাকার তাদের অন্য কোনো অবলম্বন নেই। ২০১৫ সালে বাস-মিনিবাসে বোমাবাজি কিংবা আগুন লাগানোর ব্যাপারে অনেক পুলিশ কর্মকর্তার স্বীকোরক্তিমূলক বক্তব্য ইউটিউবে পাওয়া যাবে বলেও জানান রিজভী। তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাসের সব ঘটনায় যে সরকারি লোক জড়িত তার অনেক নজির রয়েছে, তাদের লোকরাই সেটি স্বীকার করেছেন। বাসে পেট্রোলবোমায় চালকসহ ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনায় বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ দেবনাথ জড়িত। সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা তুলে ধরেন বরিশাল জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য মইদুল ইসলাম। তার নেতাদের এই কথার কী জবাব দেবেন শেখ হাসিনা? তিনি বলেন, ‘তারা লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ হত্যা ও লাশের ওপর নৃত্য করেছে। ২০১৩-১৫ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাস চালিয়ে তিন বছরে ১৭২ জনের প্রাণহানি ঘটায়। একই সময়কালে আহত হয় তিন হাজার ৮৬ জন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে তিন হাজার ২৫২টির বেশি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য রয়েছে। ট্রেনে হামলা হয়েছিল ২৯ বার। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: