দেশের বাজারে চিনি ১১০, পেঁয়াজ ৫৫

News News

Desk

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : চিনির দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে। বাজারে এখন খোলা চিনি ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি করা হয় ৯৫ টাকায়।

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এর আগে কখনো চিনির দাম ১০০ টাকার বেশি ওঠেনি। এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা করে বেড়েছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ভাসাণটেক, মিরপুর, খিলক্ষেত, গুলশান ও রামপুরা বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলগুলোর উৎপাদন খরচ বিবেচনায় নিয়ে সরকার গত ৬ অক্টোবর কেজিতে দাম ছয় টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি ৯০ টাকা বেঁধে দেয়।

তবে বাজারে এই দরে চিনি মিলছে না। খোলা চিনিই বিক্রি করা হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি দরে। আর প্যাকেট চিনি প্রতি কেজি ৯৫ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর বাজারে এই চিনি সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর উত্তর ভাসানটেক এলাকার ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন মিয়া বলেন, বর্তমানে আমরাদেরই তো প্রতি কেজি চিনি কিনতে খরচ হচ্ছে ১০৫ টাকা। সরকারের নির্ধারিত মূল্য ৯০ টাকায় কিভাবে বিক্রি করব?

তিনি জানান, চিনি উৎপাদনকারী কম্পানিগুলো বাজারে চিনির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এই কারণেই এখন চিনির দাম বাড়ছে।

খিলক্ষেতের মুদি দোকানদার রাসেল মিয়া জানান, বেশি দামে কিনে আনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে তিনি বিক্রি করছেন। তিনি বলেন, এর আগে কখনোই প্রতি কেজি চিনির দাম ১০০ টাকা ছাড়ায়নি।

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের প্রধান (বিপণন) মো. মাযহার উল হক খান জানিয়েছেন, গত বছর চিনির উৎপাদন খুবই কম হওয়ায় আমাদের সংগ্রহে অন্যান্য বছরের তুলনায় মজুদ কম ছিল। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজারে নতুন চিনি আসবে।

সরকারি বাজার মনিটরিং প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য বলছে, রাজধানীতে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি করা হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

এদিকে বাজারে পেঁয়াজ কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৫৫ টাকায়। আমদানি করা আদা প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এবং দেশি আদা ১৪০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

আর আমদানি করা রসুন বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা কেজি দরে। ডিম প্রতি ডজন ১৪৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

সূত্র : দেশ রূপান্তর