লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ১০ News News Desk প্রকাশিত: ৯:৫৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ছাত্রলীগ এবং বিএনপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে দুই ছাত্রলীগ নেতা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন, বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকার ফিলিং ষ্টেশনের সামনে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার, ছাত্রলীগ নেতা জাহেদুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম জুয়েল, রিফান, রুমন ও আসাদুল। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক মহিদুল ইসলাম। এছাড়াও আহত হয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নুরন্নবী কাজল, রবিউল, আলী ও ছাত্রদল নেতা জাহিদ। জানা গেছে, শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার তেলের পাম্প এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে সভা শেষে বের হন বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপজেলা সিন্দুর্না ইউনিয়ন ছাত্রলীগের মত বিনিময় সভা উপলক্ষে একটি মিছিল বের করে উপজেলা ছাত্রলীগ। পথিমধ্যে উপজেলার হাতীবান্ধা ফিলিং ষ্টেশনের সামনে ছাত্রলীগ ও বিএনপির মাঝে সংঘর্ষ বাধে। শুরু হয় দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, দলীয় কার্যালয়ে আমাদের একটি সভা শেষ করে বের হয়ে চলে যাচ্ছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগ অতর্কিত হামলা চালায়। কোনো কারণ ছাড়াই তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে কতজন আহত হয়েছেন সঠিক বলতে পারছি না। উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিলন সরকার বলেন, আজকে বিকেলে সিন্দুর্না ইউনিয়নে ছাত্রলীগের মত বিনিময় সভা উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। আমিও সেখানে ছিলাম। বিএনপি দলীয় কার্যালয় ফিলিং ষ্টেশনের সামনে বিএনপি ও তার অংঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগের ওপর ঢিল ছুড়তে থাকে। পরে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে আমিসহ ছাত্রলীগের আরও ৪ জন আহত হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফাহিম শাহরিয়ার খান জিহান বলেন, আমরা ছাত্রলীগ শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় বিএনপির লোকজন আমাদের ঢিল ছুড়তে থাকে। আমরাও তাদের প্রতিহত করি। এতে আমাদের চারজন আহত হয়েছেন। দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে তারা যে ব্যবস্থা নিতে বলেন সেটা নেওয়া হবে। উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুবেল ইসলাম বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় প্রোগাম শেষ করে বের হই। এ সময় ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়। পুলিশ বাধা দিলেও তারা পুলিশের কথা না শুনে ঢিল ছুড়ে। এতে ছাত্রদলের দুজন ও স্বেচ্ছাসেবকদলের তিনজন আহত হন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. আল আকসা বলেন, আহতদের মধ্যে দু থেকে তিনজন ভর্তি আছেন। আর বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নিয়ে চলে গেছেন। যারা ভর্তি আছেন তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গুলফামুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাতীবান্ধা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিদুল ইসলাম আহত হন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: