অনলাইন ডেস্ক : আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার দুঃস্বপ্ন দেখছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

শনিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ঢাকা মহানগর উত্তর পল্লবী জোন আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় নুর আলম, আব্দুর রহিম, নারায়ণগঞ্জে শাওন প্রধান, মুন্সীগঞ্জে শহীদুল ইসলাম শাওন এবং যশোরে আব্দুল আলিম নিহতসহ সারাদেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদসহ নানা দাবিতে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপি।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে ‘সরকার দুঃস্বপ্ন’ দেখছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের কথা বলছেন। অনেকে ইভিএমের কথা বলছেন। যাওয়া-না যাওয়ার কথা বলছেন। উনারা ভাবছেন এই সমস্ত বলতে বলতে বোধহয় নির্বাচনের দিন পার হয়ে যাবে। ওই গান এবার হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আমাদেরও দোষ আছে। তাদেরকে এ রকম একটা নির্বাচনের জন্য আমরা সুযোগ দিয়েছিলাম। দুর্বৃত্তায়নের আরেকটা নির্বাচনের সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছিলাম। এবার যারা সেই স্বপ্ন দেখছেন, বৃথা স্বপ্ন দেখবেন না। এই স্বপ্ন আর পূরণ হবার নয়।

আমীর খসরু বলেন, দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। আজকে দুই বেলা খেতে পারছে না। বিদ্যুতের বিল দিতে পারছে না, গ্যাসের বিল দিতে পারছে না, খাদ্যপণ্য কিনতে পারছে না। এখন তো বিদ্যুতের বিল দেয়া দরকার নাই বলেছেন, আপনারা চেরাগের জন্য তৈরি হোন।

বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ চেরাগের জন্য তৈরি হতে হবে না। কারণ তার আগে আপনাদের বিদায় নিতে হবে। এই দেশ চেরাগের বাংলাদেশ নয়, এই দেশ আলোকিত বাংলাদেশ, এই দেশ জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ, এই দেশ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ। চেরাগের দিন আমরা আনতে দেবো না।

আমীর খসরু আরও বলেন, মানুষ রাস্তায় নেমে গেছে। আমাদের আস্থা জনগণের ওপর। এই লক্ষ জনতার সামনে যারা দাঁড়াবে তারা ভেসে যাবে। আমার শেষ কথা-রাস্তায় নেমেছি, বাড়ি ফিরে যাব না। যেদিন বাড়ি ফিরে যাব সেদিন স্বাধীন বাংলাদেশ করে বাড়ি ফিরে যাব। তার জন্য প্রাণ দিতে হয়, প্রাণ দেব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার গঠন করে ‘রাষ্ট্র সংস্কার’ এর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাইফুল আলম নিবর, রফিকুল আলম মজনু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না, চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উত্তরার মোস্তফা জামান,

আলাউদ্দিন সরকার টিপু, বিমানবন্দরের দেলোয়ার হোসেন দিলু, উত্তরার আব্দুস ছালাম, তুরাগের আমান উল্লাহ ভূইয়া, হাজী জহিরুল ইসলাম, চান মিয়া, দক্ষিণখানের আল আমিন সরকার, হাসান জাফির তুহিন, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন