সরকার পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার বদলা : ফখরুল News News Desk প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে শাওন হত্যার প্রতিশোধ নেয়া হবে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওনের জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শাওনের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। সরকার পতনের মধ্য দিয়ে শাওন হত্যার বিচার করব। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। গত বুধবার বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও বিএনপি নেতাকর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন, জাহাঙ্গীরসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শাওন বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে মারা যান। জানাজার আগে বিএনপি নেতারা শাওনের লাশ হস্তান্তর নিয়ে অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ‘লাশ না পাওয়ায় পূর্বনির্ধারিত বাদ জুমা নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শাওনের নামাজে জানাজা করা যায়নি। ময়নাতদন্তের নামে লাশ প্রদানে গড়িমসি শুরু করে পুলিশ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় যুবদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন। দুপুরে জানাজায় অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। লাশ দিতে গড়িমসি করার সমালোচনা করে বিকেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘বারবার যোগাযোগ করলেও যুবদল কর্মী শাওনের লাশ হস্তান্তর করছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। কোনো শীর্ষ মহলের নির্দেশের কারণে লাশ হস্তান্তর করা হচ্ছে না বলে মনে করছি আমরা। এ সময় অবিলম্বে শাওনের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার জোর দাবি জানান রিজভী। বিকেলে শাওনের মরদেহ গ্রহণে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যুবদলের নেতারা ঢামেকে ভিড় করেন। সন্ধ্যার আগে তারা শাওনের লাশ বুঝে পান। এরপর তার লাশ নেওয়া হয় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা হয়। পরে তার লাশ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। জানাজা শেষে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে নয়া পল্টনে গিয়ে শেষ হয়। জানাজায় অংশ নেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ। জানাজার আগে বিএনপি ও যুবদলের পক্ষ থেকে শাওনের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা। তার কফিনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাকে চিরদিনের জন্য বিদায় জানান বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে অ্যাম্বুলেন্সে শাওনের লাশ মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজধানী ঢাকার বাইরে সারা দেশের জেলা শহরে বাদ জুমা শাওনের গায়েবানা নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: