আল্লাহই একমাত্র রিযিকদাতা

News News

Desk

প্রকাশিত: ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : মহান আল্লাহতায়ালা মানবজাতির জন্য সুখ-শান্তির ব্যবস্থা করেছেন। অশান্তি, দুঃখ, দুর্দশাও তিনি সৃষ্টি করেছেন। তিনি অন্ধকার সৃষ্টি করেছেন। সৃষ্টি করেছেন আলো ঝলমলে দিন। তাঁর করুণায় মানুষ সুখ, শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবনযাপন করে।

বিপদ-আপদ, অভাব-অনটন মানবজীবনের সঙ্গী। যে কোনো মুহূর্তে মানুষ কোনো অপ্রীতিকর অবস্থার সম্মুখীন হতে পারে। তাই কখনো দুঃখ, কষ্ট, অভাব-অনটন ইত্যাদি আসলে ভেঙে পড়া উচিত নয়। আল্লাহর ওপর আস্থা ও ভরসা রাখতে হবে।

তাঁর শরণাপন্ন হতে হবে। আল্লাহ সর্বশক্তিমান। তিনি সবকিছু করতে সক্ষম। তাঁর সৃষ্টিতে রয়েছে রাতের পর দিন। রাত যত গভীর হয় প্রভাত হয় ততই নিকটে। আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘নিশ্চয় কষ্টের সঙ্গেই স্বস্তি রয়েছে’। (সুরা ইনশিরাহ-০৬)।

মহান আল্লাহতায়ালা মাঝে মধ্যে মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য অভাব-অনটন, বিপদ-আপদ দিয়ে থাকেন। এ অবস্থায় যারা আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস রেখে ধৈর্য ধারণ করে, মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ।

মহান প্রভু ঘোষণা করেন, ‘আমি তোমাদের কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব। শুভ সংবাদ দাও ধৈর্যশীলগণকে’ (সুরা বাকারাহ- ১৫৫)। সংকটকালে ধৈর্য ধারণ করা একটি বিশেষ ধরনের নেক আমল।

খাদ্য সংকট এবং দুর্দিনে মহানবী (সা.) ও সাহাবাগণ ধৈর্য সহকারে আল্লাহর সাহায্য চাইতেন। মুমিনদের তিনি ধৈর্য ধারণের দীক্ষা দিতেন। দুর্দিনে যারা ধৈর্য ধারণ করে, কোরআনে কারিমে মহান আল্লাহ তাদের প্রশংসা করেছেন (সুরা বাকারাহ-১৭৭)।

অভাব-অনটন ও দুর্ভিক্ষ থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম একটি করণীয় হলো, মহান আল্লাহর কাছে অতীতের পাপের জন্য তাওবা করা ও বিপদ মুক্তির জন্য তাঁর কাছে প্রার্থনা করা। মহানবী (সা.)-এর যুগে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হওয়ায় জনৈক ব্যক্তির আবেদনে জুমার দিন তিনি বৃষ্টির জন্য দোয়া করেন।

সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়। এক সপ্তাহব্যাপী বৃষ্টি চলমান থাকে। পরবর্তী জুমায় তিনি অতিবৃষ্টি থেকে রক্ষার জন্য দোয়া করেন। সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে সব দিক ফর্সা হয়ে যায়। (সহিস মুসলিম-১৯৬৪)।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন