নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে থাকছে নানা চ্যালেঞ্জ: শিক্ষামন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:১৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এর ওপরে ভিত্তি করে যেন আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব ও মানবিক সৃজনশীল মানুষ হয়, বাংলাদেশ যে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক চেতনা নিয়ে তৈরি হয়েছিলো, সেই চেতনা যেন ধারণ করে শিক্ষার্থীরা বড় হতে পারে তার উপযোগী করেই নতুন শিক্ষাক্রম তৈরি করেছি।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকালে শাহবাগ জাতীয় যাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শহীদ ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিণী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী লিখিত ও সম্পাদিত এবং মানসী কায়েস ও ফারাহ নাজ অনুদিত DR. ALIM A MARTYR OF 1971 গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীরা দেশে ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস বিকৃতি করেছে। দেশের বাইরে গিয়েও তাদের সর্বস্ব দিয়ে, অর্থ দিয়ে লবিস্ট নিয়োগ করে ইতিহাস বিকৃত করছে। এর একটি কারণ আমাদের ইতিহাস নিয়ে ইংরেজি তেমন কোনো বই নেই।

আমাদের গণহত্যার স্বীকৃতি না পাওয়ার কারণ হলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস বাইরে জানানো হয়নি, যা জানানো হয়েছে তা অসম্পূর্ণ, বিকৃত। আবার কোথাও কোথাও গণহত্যার সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। আমরা চেয়েছি বাংলাদেশের গণহত্যাকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হোক। এর জন্য সরকারি কার্যক্রম চলমান আছেও বলেও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য এ্যারোমা দত্ত, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক শারফুদ্দীন আহমেদ বলেন, আল বদর বাহিনীর প্রধান আব্দুল মান্নানের হাতে নিহত হন ডা. আব্দুল আলীম চৌধুরী। মান্নানরা ভেবেছিল যুদ্ধে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা নেই তখন তারা বুদ্ধিজীবীদের খুন করে। যারা একাজে জড়িত ছিল তাদের অনেকের বিচার করতে পেরেছি। কিন্তু আরও অনেকে রয়ে গেছে। তাদের সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে।

শাহরিয়ার কবির বলেন, দেশে-বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যাকে অস্বীকার করার একটি প্রচেষ্টা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যা নিয়ে বাংলায় অনেক লেখা আছে, কিন্তু ইংরেজিতে অনুদিত লেখা খুব বেশি নেই। এমন প্রেক্ষিতে শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী’র এই বইটি বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এসময় তিনি অতিদ্রুত মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃত ইতিহাস অস্বীকারের বিরুদ্ধে আইন পাস করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন