দেশে লোডশেডিংয়ের নামে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে : জিএম কাদের

News News

Desk

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, লোডশেডিংয়ের নামে দেশে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। রাজধানীর কিছু ভিআইপি এলাকা ছাড়া বিদ্যুতের অভাবে মানুষ অসহনীয় কষ্ট সহ্য করছে। রাজধানীর বাইরে বিদুৎ বিপর্যয়ে মারাত্মক অবস্থা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড সংলগ্ন গুলশান লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্ত করেন তিনি।

এ সময় জাতীয় মৎস্যজীবী পার্টি আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন জিএম কাদের।

জিএম কাদের বলেন, দেশের প্রতিটি সংকটে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি কিন্তু সরকার আমাদের ডাকছে না। অথচ দেশের মানুষ উৎকণ্ঠার সাথে জানতে চাচ্ছে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি। কিন্তু সরকার কোনো কিছুই পরিষ্কার করছে না।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন উৎস থেকে আমরা জানতে পারছি, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তৈরি কিছু প্রতিষ্ঠানকে বসিয়ে বসিয়ে মাসে ২ হাজার কোটি টাকা হারে ২৪ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হচ্ছে। অপর এক সূত্রে জানা গেছে, পিডিবির কাছে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এমন কোম্পানিগুলোর পাওনা ৩০ হাজার কোটি টাকা।

বকেয়া পাওনা পরিশোধ করতে না পারলে পিডিবিকে আর বিদ্যুৎ দেবে না ওই সকল প্রতিষ্ঠান। এমন বাস্তবতায় দেশের সচেতন মহলের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সঠিক ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হলে সড়ে দাঁড়ানো উচিত। পারবেনও না আর ছাড়বেনও না, তা হতে পারে না।

এ সময় জিএম কাদের আরো বলেন, দেশের মানুষ আর মেগা প্রকল্প চায় না, দেশের মানুষ চায় খেয়ে পড়ে বাঁচতে। দেশের মানুষ মেগা প্রকল্পের পরিবর্তে স্বল্প খরচে সুচিকিৎসা প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, দেশের মৎস্য উৎপাদনে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছিলেন। সমন্বিত মাছ চাষের মাধ্যমে শুধু মাছের উৎপাদনই বাড়েনি, মৎস্যজীবীদের ভাগ্যের উন্নয়নেও অসামান্য অবদান রেখেছেন পল্লীবন্ধু।

এতে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, জহিরুল ইসলাম জহির, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মন্জুর হোসেন মন্জু, আশিক আহমেদ, সম্পাদক মন্ডলী হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, খোরশেদ আলম খুশু, মিজানুর রহমান মিরু, আজহারুল ইসলাম সরকার, মাহমুদ আলম, মীর সামসুল আলম লিপটন, জহিরুল ইসলাম মিন্টু, গুলশান থানার আব্দুল আজিজ, আব্দুস সাত্তার, শেখ মো. নান্নু, ইঞ্জি. এলাহান উদ্দিন, ওমর আলী খান মান্নাফ, ফজলে এলাহী সোহাগ, আবুল কালাম আজাদ টুলু, ওমর ফারুক, শামিম আহমেদ রিজভী, বাড্ডা থানার- মহিউদ্দিন ফরাজী, এস এম আমিনুল হক সেলিম, মো. নজরুল ইসলাম, মো. জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুবনেতা শেখ সারোয়ার, শাহিদ আলম প্রমুখ।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন