শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়: তথ্যমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করার মধ্য দিয়ে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকেই বন্দি করা হয়। ২০০৮ সালের ১১ জুন তার মুক্তির মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রও মুক্তি লাভ করে। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে আওয়ামীলীগ সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার কারাবরণ দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল প্রমুখ। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শেখ হাসিনার ক্ষমতার দরকার নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য তার দরকার। এই দেশকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানোর জন্য শেখ হাসিনার দরকার আছে। আমরা সেই অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো যদি মানুষকে জিম্মি, বিভ্রান্তি, জ্বালাও-পোড়াও করা এবং নেতিবাচক রাজনীতি বন্ধ হয়। যারা এ কাজগুলো করছে, শুধু প্রতিবাদ নয়, তাদের প্রতিহত করতে হবে। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা সেনা সমর্থিত তৎকালীন ১/১১ সরকারের অন্যায়, অবিচার এবং দুর্নীতির একমাত্র আপসহীন প্রতিবন্ধক ছিলেন বলেই তাকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বলেন, ‘সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতি, অনাচার-অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা ক্ষমতা নেয়। স্বাভাবিকভাবেই ধারণা করা হয়েছিল, যারা দুর্নীতিতে পরপর পাঁচবার দেশকে চ্যাম্পিয়ন বানায়, যারা হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করে সমান্তরাল সরকার পরিচালনা করেন, যারা দেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য বানান, সেই বিএনপি ও জামাতের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন। কিন্তু আমরা অবাক বিস্ময়ে দেখলাম, যে স্লোগান দিয়ে ও বক্তব্য রেখে তারা সরকার গঠন করেন, সেই অন্যায়-অবিচারের মধ্যে তারাই যুক্ত হয়ে গেলেন। আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু কন্যা গ্রেপ্তার হওয়ার পর মতিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে দলের সভাপতির দায়িত্ব দেন জিল্লুর রহমানের ওপর। তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর নেত্রীর গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে গুলশানে তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেদিন জিল্লুর চাচার সঙ্গে আমার প্রথম বাক্য বিনিময় ছিল ‘নেত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এখন দলটা ভাঙার চেষ্টা করা হবে। দল যদি তারা ভাঙতে পারে তাহলে নেত্রীকে মুক্ত করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। আমাদের প্রথম কাজ হচ্ছে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা’। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নেত্রীর অবর্তমানে শ্রদ্ধাভাজন নেতা জিল্লুর রহমান অত্যন্ত দক্ষতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে সক্ষম হন। নেত্রী যখন কারাগারে তখন জিল্লুর রহমান ছিলেন আমাদের অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। তার সঙ্গে ছিলেন শেখ রেহানা ও সজীব ওয়াজেদ জয়। দল ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় কর্মীদের মনে আশা ছিল। কর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ ছিল। দেশ এবং বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদ হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার মানসিকতা লালন করার আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০০৮ সালে দল ঐক্যবদ্ধ ছিল বিধায় নেত্রীকে মুক্ত করতে পেরেছিলাম। আগামী নির্বাচনেও যদি দল ঐক্যবদ্ধভাবে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে ইনশাল্লাহ ২০০৮ সালের মতো ধস নামানো বিজয় আসবে, কেউ ঠেকাতে পারবে না। সূত্র : রাইজিংবিডি.কম SHARES জাতীয় বিষয়: