ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে ১০ মাস নিষিদ্ধ পেসার শহিদুল

News News

Desk

প্রকাশিত: ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৫, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ১০ মাসের জন্য সব ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশের পেসার শহিদুল ইসলাম। আইসিসির পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানায় আইসিসি।

অপরাধ স্বীকার করে নেয়ার ফলে শাস্তি কমই পেয়েছেন শহিদুল। আইসিসি অ্যান্টি ডোপিং আর্টিকেলের ২.১ আইন ভঙ্গ করেছেন তিনি।

গত ৪ মার্চ, ঢাকায় আইসিসির পক্ষ থেকে চলা অ্যান্টি ডোপিং কার্যক্রমে স্যাম্পল প্রদান করেন শহিদুল ইসলাম। পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর তার ইউরিনে ক্লোমিফিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। আন্তর্জাতিক অ্যান্টি ডোপিং সংস্থা ওয়াডা (ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং অ্যাসোসিয়েশন) নির্ধারিত যে সব নিষিদ্ধ ঔষধ রয়েছে, তার মধ্যে ক্লোমিফিন অন্যতম।

খেলোয়াড়দের জন্য এসব নিষিদ্ধ ঔষধ খেলার মধ্যে থাকাকালীন কিংবা খেলার বাইরে থাকাকালীন সময়ে গ্রহণ করা অবৈধ।

২৭ বছর বয়সী বাংলাদেশি এই পেসার যে নিষিদ্ধ ঘোষিত ঔষধ সেবন করেছেন তা স্বীকার করে নিয়েছে এবং ১০ মাসের নিষেধাজ্ঞার শাস্তিও গ্রহণ করে নিয়েছেন। শহিদুলের নিষেধাজ্ঞা শুরুর তারিখ গনণা করা হবে ২৮ মে থেকে। ২০২৩ সালের ২৮ মার্চ আবারও খেলার মাঠে ফিরে আসতে পারবেন তিনি।

তবে আইসিসি বলছে, শহীদুল ইচ্ছাকৃতভাবে ওই ওষুধ সেবন করেননি। অন্য একটি অসুখের কারণে বৈধভাবে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী একটি ওষুধ সেবন করেন শহীদুল, যেটিতে ছিল ক্লোমিফিন। পুরো ব্যাপারটিতে শহীদুলের দিক থেকে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো ‘অবহেলা বা দোষ’ খুঁজে পায়নি আইসিসি। নিজের পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য তিনি এমন করেননি, এ ব্যাপারেও আইসিসিকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে শহীদুল।

তবুও এরপরও শহীদুলকে নিষিদ্ধ করার পেছনের কারণ হিসেবে আইসিসি বলেছে, ‘শহীদুল এটা মেনে নিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে ডোপিং বিরোধী নিয়মের কারণে তার ওপর অর্পিত যে দায়িত্ব, সেটি পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

বিসিবি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে এসেছে, অসুস্থতার কারণেই ওই ওষুধ সেবন করেছিলেন শহীদুল। তবে তাকে দেওয়া ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বিসিবির সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি তিনি সে সময়ে। পরে দেখা গেছে, ওই ওষুধটি ওয়াডা কর্তৃক নিষিদ্ধঘোষিত।

বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন শহীদুল। গত নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি খেলেন তিনি। এরপর নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলে থাকলেও ম্যাচ খেলেননি। শহীদুল ছিলেন চলমান ওয়েস্ট ইন্ডিজের সফরের বাংলাদেশ দলেও। তবে চোটের কারণে সফরের আগেই ছিটকে যান তিনি।

শহীদুলের আগে সর্বশেষ ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটারের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ২০২০ সালের জুলাইয়ে। ওই সময়ে অনিক ইসলামকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যদিও সে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল বিসিবিই। আর শহীদুলের আগে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হিসেবে নিষিদ্ধ হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটার জুবায়ের হামজা। গত মে মাসে নয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় তাকে।

সূত্র : জাগো নিউজ