দিনে ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে ঢাকার যানজটে

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:১০ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : রাজধানী ঢাকায় মাত্রাতিরিক্ত যানজটের কারণে প্রতিদিন ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট (ডব্লিউবিবি)।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংগঠনটির আয়োজনে ‘যানজটের অভিশাপ থেকে পরিত্রাণে করণীয়’-শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ২০০৭ সালে ঢাকায় গাড়ির গড় গতি ছিল ঘণ্টায় ২১ কিলোমিটার।

এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটারে। ঢাকায় যানজটের কারণে নষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন প্রায় ৮২ লাখ কর্মঘণ্টা। অর্থমূল্যে যা প্রতিদিন প্রায় ১৩৯ কোটি এবং বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকার অধিক।

তিনি আরো বলেন, যানজটের এই সমস্যার জন্য শৃঙ্খলা না মেনে গাড়ি চালানো, রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে মেগা প্রকল্পগুলোর কালক্ষেপণ, ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর পরিকল্পনা, দুর্বল ট্রাফিক সিগন্যাল ও মনিটরিং ব্যবস্থা, যানবাহন নিবন্ধনে অব্যবস্থাপনা, সার্বিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক ও আধুনিক পদ্ধতির অভাবসহ বেশ কিছু কারণ দায়ী।

সভায় নগর পরিকল্পনাবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, অগ্রাধিকার ঠিক করে কাজ করলে ঢাকার যানজট তিন বছরে দূর করা সম্ভব।

তিনি বলেন, প্রধান রুটগুলোতে মানসম্মত গণপরিবহন নামানো, প্রাইভেট কারের অবাধ চলাচল বন্ধ করা এবং ফুটপাত খালি করতে পারলে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে।

তিনি বলেন, যানজট নিরসনে কী করতে হবে, তা জানা থাকলেও সরকারগুলো করেনি। হাজার হাজার কোটি টাকা খরচের পরও ঢাকায় গাড়ির গতি কমেছে। বিগত সরকারের আগ্রহ ছিল বড় প্রকল্পে, যেসব প্রকল্পে পকেট ভরবে। যানজট নিরসনে সত্যিকারের সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটেনি তারা।

আদিল মুহাম্মদ খান আরও বলেন, আগে গুরুত্বপূর্ণ রুটগুলোয় মানসম্মত গণপরিবহন নামাতে হবে। পাঁচ হাজার বাস নামানোর কথা অনেক বছর আগে থেকেই শুনে আসছেন।

শুরুতে এক হাজার বাস নামানো যেতে পারে। পর্যায়ক্রমে বাকি বাস আনা যেতে পারে। কমিউটার সার্ভিস চালু হলে অলিগলিতে কিছু রিকশা কমে যাবে। এ ছাড়া মেট্রোরেলের বগি জাপান থেকে আনা গেলেও সরকার বাস আনতে পারছে না কেন।

ট্রাফিকস নামের একটি সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তার লিখিত উপস্থাপনায় অতীতে কী কারণে সড়কের সিগন্যাল ব্যর্থ হয়েছে, ঢাকা শহরে ট্রাফিক সিগন্যাল কেমন হওয়া উচিত, এসব বিষয়ে আলোচনা করেন।