নিত্যপণ্য নিয়ে কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন গেল জাহাজ News News Desk প্রকাশিত: ৭:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৪ অনলাইন ডেস্ক : চাল, ডাল, পেঁয়াজ, তেলসহ নানা ধরনের ভোগ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে বার আউলিয়া নামে একটি জাহাজ। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি যাত্রা করে। জাহাজটিতে করে কিছু সংখ্যক যাত্রীও গেছেন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকা পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে ফিরবেন। এদিন সকাল ১০টায় বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এমভি বার আউলিয়া জাহাজে তোলা হচ্ছে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ নানা ধরনের ভোজ্যপণ্য। একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও জড়ো হচ্ছেন নিজ এলাকায় ফেরার জন্য। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এ সময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক লোক সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে রওনা হন। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি ট্রলার লোকজন নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। সেখান থেকে অন্তত দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফে ফিরে আসেন। এ সময় বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন। প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌরুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদীয়া পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ করে মিয়ানমারের ওদিক থেকে কয়েক দফা গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্যসংকট দেখা দেয়। এ অবস্থায় আজ থেকে কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ ওয়াসিম বলেন, ৮ দিন পর সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। ঘাটে অপেক্ষারত সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আয়েশা ছিদ্দিকা বলেন, চিকিৎসার জন্য এসে আটকে পড়েছিলাম। দুইদিন আগে চিকিৎসা শেষ হলেও ফিরতে পারিনি। অবশেষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আজ নিজ এলাকায় ফিরবো। সেন্টমার্টিন দ্বীপের ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন বলেন, চাল, ডাল, তেল, নুন, কাঁচা শাক-সবজি সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে অনেক আগে। আজ এসব খাদ্যপণ্য নিয়ে যাচ্ছি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, এক সপ্তাহ সেন্টমার্টিন নৌরুটে জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে দ্বীপটিতে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। অবশেষে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কক্সবাজার থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে জাহাজ আসছে। একই সঙ্গে কক্সবাজারে আটকে পড়া বাসিন্দারাও ফিরছেন। সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে লড়াই তীব্র হয়। এর প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া গ্রামগুলোতে। SHARES জাতীয় বিষয়: