ভারী বর্ষণে সিলেট নগরের উপশহরের প্রধান সড়কসহ প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : ভারী বর্ষণে সিলেট নগরের উপশহরের প্রধান সড়কসহ প্রায় ৯০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অনেক বাসা বাড়িতেও উঠেছে পানি।

রোববার (০২ জুন) মধ্যরাত থেকে সোমবার (০৩ জুন) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টির পর এই অবস্থা হয়।

কেবল বাসা বাড়ি নয়, সিলেটের সবচেয়ে বড় চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, সুরমার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ছড়া খালগুলো দিয়ে উল্টো নগরে ঢুকে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে। ফলে মেন্দিবাগ, মাছিমপুর, ছড়ারপার, কুশিঘাট, চালিবন্দর, কামালগড়, যতরপুর, সুবহানীঘাট, দক্ষিণ সুরমা, বরিইকান্দিসহ বিভিন্ন এলাকার সড়ক তলিয়ে বাসা-বাড়িতে পানি উঠেছে।

এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদের সামনেও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আকস্মিক জলাবদ্ধতার কারণে নগরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলা সোমবারের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।

নগরের বাসিন্দারা জানান, এক রাতের বৃষ্টিতে নগরের অনেক এলাকায় পানি ঢুকেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়া এবং ভারী বর্ষণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নগরের উপশহরের বাসিন্দা সোয়েব আহমদ ও ইমরান আহমদ বলেন, গত রাত থেকে বৃষ্টিতে উপশহরের রাস্তা দিয়ে ২০২২ সালের বন্যার মতো নৌকা চলাচলের অবস্থা হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

মাছিমপুর এলাকার আবুল হোসেন বলেন, গত শুক্রবার থেকে এলাকার বাসা-বাড়িতে পানি উঠেছে। গত দুদিনে কিছুটা কমেছিল। কিন্তু এক রাতের বৃষ্টিতে অনেকে বাসা-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তর সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব আহমদ বলেন, গতকাল রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২২৬ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এরপর সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত আরো ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে গত ২৯ মে থেকে সিলেটের গোয়াইঘাট কানাইঘাট, জৈন্তাপুর, কোম্পানীগঞ্জ, জকিগঞ্জ ছাড়াও বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও সিলেট সদর উপজেলার ছয় লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ জন মানুষ বন্যা আক্রান্ত হন। দুর্গত এলাকাগুলোতে ৫৪৭টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজার ৭৩৯ জন মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেন।

সিলেট সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর বলেন, নগরের দুটি আশ্রয় কেন্দ্রে বাসা বাড়ি শতাধিক পরিবার অবস্থান করছেন। তাদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।

বন্যা পরিস্থিতি অবনতির বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টি কিছুটা থামলেও সাড়ে ৯টার দিকে ফের বর্ষণ শুরু হয়।