২০২৫ সালের মধ্যে দেশে আরও ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে : অর্থমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ১১:৩২ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রস্তুতি হিসেবে আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ২০ লাখ থেকে বাড়িযে ৩০ লাখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের অদূরে ১ হাজার ১৫০ একর জায়গার উপর বঙ্গন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরীতে ৫ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হবে। বৃহস্পতিবার (০১ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশের বেকার জনসংখ্যার জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থান সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় ডাটাবেজ তৈরির কাজ চলমান রয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৮ হাজার পোশাক কারখানার শ্রমিকদের ডাটাবেজ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ২০৩০ সালের মধ্যে ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করবে। মন্ত্রী বলেন, শিশু শ্রম নির্মূল এবং নারী শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারের কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে। ইতিমত্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৮টি সেক্টরকে শিশুশ্রম মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমখাত সম্পর্কিত জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা ২০২১-২০২৬ অনুযায়ী কারখানাসমূহের ঝুঁকির ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ ও শ্রম পরিদর্শন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্তকরণের লক্ষ্যে কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশের কর্মক্ষম শ্রমশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনীতির গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ-বছরে ৩৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরমধ্যে পরিচালন ব্যয় ২২৩ কোটি ৪০ লাখ এবং উন্নয়ন ব্যয় ১২৩ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৫৭ কোটি টাকা, যা সংশোধিত বাজেটে ৪৭০ কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। মন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় বলেন, শ্রমের উৎপাদনশীলতা বাড়লে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরির প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে, যা তার জীবনমানের উন্নতি ঘটাবে। এলক্ষ্যে সরকার দক্ষতার উন্নয়নের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। চলমান ও ভবিষ্যতের শিল্প-বাণিজ্যের চাহিদার কথা বিবেচনায় রেখে শ্রমিকের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে সরকার ‘স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (এসইআইপি) এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মান উন্নয়ন, দক্ষ প্রশিক্ষক তৈরি, আন্তর্জাতিক সনদ প্রদান ইত্যাদি বিষয়েও কার্যক্রম পরিচালনা করে এসইআইপি প্রকল্প দেশের মানবসম্পদ ও দক্ষতা উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। এ প্রকল্পের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে সরকার চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জসমূহ বিবেচনায় নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকার লক্ষ্যে শিল্প খাতে নিয়োজিত জনশক্তির যুগোপযোগী দক্ষতা নিশ্চিত করতে অধিকতর ফলাফল-ভিত্তিক একটি প্রশিক্ষণ প্রকল্প গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে এবং যার প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES অর্থনৈতিক বিষয়: