পদ্মা সেতুর রেললাইনে বসলো শেষ স্লিপার

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা রেল সেতুতে।

এখন বাকি শুধু সাত মিটার অংশের ঢালাই কাজ। এ ঢালাইয়ের মধ্যে দিয়ে ৬.৬৮ কিলোমিটার রেললাইনের কাজ শেষ হবে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পদ্মা সেতুর মাঝখানে ৫ নম্বর মুভমেন্ট জয়েন্টে ইস্পাতের স্লিপারটি বসানোর কাজ শেষ হয়।
বুধবার সকালে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক-১ ব্রিগেডিয়ার সাঈদ আহমেদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের সূত্রে জানা যায়, স্লিপারটি চীন থেকে উড়োজাহাজে আনা হয়। সোমবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় স্লিপারটি রাজধানী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) স্লিপারটি পদ্মা সেতু প্রকল্প সাইটে আনা হয়। স্লিপারটি সফলভাবে বসানো হয়েছে। এখন এর পাশেই সাত মিটার ঢালাই হবে। সেটি শক্ত হতে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। এর পরপরই এর ওপর দিয়ে ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।

প্রকৌশলীরা আরও জানান, মূল এবং দু’পাশের ভায়াডাক্ট মিলিয়ে পদ্মা রেল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬.৬৮ কিলোমিটার। রেল সেতুতে আটটি মুভমেন্ট জয়েন্ট আছে। দেশে প্রথমবারের মতো সর্ববৃহৎ রেলব্রিজ মুভমেন্ট জয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে পদ্মা রেল সেতুতে। দ্রুতগতিতে রেল চলার সময় এই মুভমেন্ট জয়েন্ট ৮০০ মিলিমিটার পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারবে।

মূল সেতুতে ১১ হাজার ১৪০টি স্লিপার স্থাপিত হয়েছে। মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের আটটি স্লিপার ছাড়া বাকি সবগুলো কংক্রিটের তৈরি। এগুলো ফরিদপুরের ভাঙ্গা পুরোনো রেলস্টেশনের পাশে স্থাপিত কারখানায় তৈরি করেছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে বিশেষ তাপমাত্রায় মুভমেন্ট জয়েন্টের ইস্পাতের স্লিপারগুলো তৈরি করে আনা হয় চীন থেকে।

এদিকে, রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্পের মধ্যে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যানবাহন চালু রেখেই নিচতলায় পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণ। এখন তা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পথে।

বাংলাদেশসেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসালটেন্টের (সিএসসি) তত্ত্বাবধানে চলছে পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের কাজ। পদ্মা সেতু ছাড়াও প্রকল্পের মোট ১৭২ কিলোমিটার লেভেল ক্রসিংবিহীন রেলপথে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে। সেতুর দু’পাশের স্টেশন নির্মাণও এখন চূড়ান্ত পর্যায় রয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন