বিএনপি নেতারা বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে: সেতুমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ১২, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য অতীতের ধারাবাহিকতায় বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে তা উল্লেখ করেছেন।

পরবর্তীকালে ২০০১ সালের নির্বাচনের আগেও বিদেশি প্রভুদের কাছে আমাদের জাতীয় সম্পদ প্রাকৃতিক গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে কারচুপির মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন খালেদা জিয়া।

রবিবার (১২ মার্চ) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের আরও উল্লেখ করেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় আমরা দেখি, ক্ষমতা দখলের জন্য কীভাবে বিএনপি নেতারা বিদেশি দূতাবাসগুলোতে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মহলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

বিদেশি প্রভুদের স্বার্থরক্ষার মুচলেকা দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারা কখনোই জনগণের কল্যাণ করতে পারে না। বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোটের দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, দুর্বৃত্তায়নই তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তির একমাত্র উৎস।

জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই আওয়ামী লীগ সবসময় ক্ষমতায় এসেছে এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশাকে ধারণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে।

তিনি বলেন, রাষ্ট্রক্ষমতার জন্য আওয়ামী লীগ কখনো জনগণ ব্যতীত অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয়নি। যার জন্য দেশি-বিদেশি সুপরিকল্পিত ষড়ন্ত্রের মাধ্যমে অসংখ্যবার আওয়ামী লীগের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুটি একটি ‘ডেড ইস্যু’। গণতন্ত্রকামী প্রত্যেক মানুষ মাত্রই জানেন, জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত নয় এমন ব্যক্তি দ্বারা এক মুহূর্তের জন্যও রাষ্ট্র পরিচালনা সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত আদর্শের পরিপন্থি।

অনির্বাচিত ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলে জনগণ ক্ষমতাহীন হয়ে পড়ে। তাছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সুস্পষ্টভাবে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়া কোনো পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া অসম্ভব।

তিনি বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বিশ্বব্যাপী প্রচলিত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণই নির্ধারণ করবে কে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের অন্তরে স্বৈরাচারের চেতনা প্রবাহমান। যারা একজন দুর্নীতিবাজ পলাতক খুনি আসামির জন্য দলীয় গঠনতন্ত্রে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয় তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।

কানাডার আদালত কর্তৃক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপিই এদেশের গণতন্ত্রের প্রধান অন্তরায়। বিএনপি মানেই দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, খুন-ধর্ষণ; সর্বোপরি জনগণের ওপর নির্যাতন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য দেশের উন্নয়ন, জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। সফল রাষ্ট্রনায়ক জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুত ভিতের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন