১০ দফার উদ্দেশ্য দেশের মানুষকে উদ্ধার করা : ড. মোশাররফ

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:২৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৫, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। দেশটার মালিক জনগণ। কিন্তু জনগণের এই দেশকে আওয়ামী লীগের একটি গোষ্ঠী নিজেদের করে নিয়েছে। ইচ্ছেমত লুটপাট করছে। অতএব দেশটাকে এদের হাত থেকে উদ্ধার করে জনগণকে ফেরত দিতে হবে। সেজন্যই আমাদের ২৭ দফা রূপরেখা।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ অংশ নেন।

ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কারে যে ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে, তার মধ্যে রয়েছে। ‘ধর্ম যার যার রাষ্ট্র সবার’। এই নীতির মধ্যে প্রত্যেক ধর্মাবলম্বী তার নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনতা পালন করবে।

দলের এই নীতি-নির্ধারক বলেন, যারা গায়ের জোরে সরকারে রয়েছে- তারা নানান জায়গায় অনাচার সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় মন্দিরে-গির্জায় ইত্যাদি স্থানে হামলা ও লুট করা হচ্ছে। তাদের এসব অপকর্ম বলে শেষ করা যাবে না। বাংলাদেশকে আমাদের উদ্ধার করতে হবে। আমরা হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে উদ্ধার করে জনগণের কাছে ফেরত দেব।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই নেতা বলেন, তারা আমাদের ধনী এবং গরিবের মধ্যে যে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে, ব্যাংক ডাকাতি করেছে। যারা এসব কাজ করেছে, তারা কখনোই এসব মেরামত করতে পারবে না। এই চিন্তা-চেতনা থেকে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাষ্ট্র কাঠামোর জন্য ২৭ দফা ঘোষণা করেছেন। যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষকে উজ্জীবিত ও আশা সঞ্চার করেছে।

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে আন্দোলনের ১০ দফা ঘোষণা করা হয়েছে। তার অর্থ হচ্ছে এ সরকারকে আমরা হটাতে চাই। না হটাতে পারলে যত অনাচার-অত্যাচার ও অন্যায় রয়েছে, তা আমরা দূর করতে পারব না।

গণতন্ত্র না থাকলে কোনো প্রতিষ্ঠানই ঠিকমতো চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পরে করেছে বাকশাল গঠনের মাধ্যমে, এখন আবার করছে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন