বিএনপি নেতা শাহ মোয়াজ্জেম আর নেই News News Desk প্রকাশিত: ১০:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বিএনপির পক্ষ থেকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় গুলশানে নিজ বাসায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে নাতিনাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী ২০০৯ সালে মার যান। শাহ মোয়াজ্জেমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৩৯ সালের ১০ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার দোগাছি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকার সেন্টগ্রেগরিজ হাই স্কুল থেকে মেট্রিক পাস করেন। ১৯৫৬ সালে ঢাকা কলেজ থেকে আইএ পাস করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকেই এমএ ও এলএলবি পাস করেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৫২ সালে নবম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালে ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় গ্রেপ্তার হন শাহ মোয়াজ্জেম। ১৯৫২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিনি গ্রেপ্তার হন। বন্ধু মহলে ‘কারাগারের পাখি’ নামে পরিচিত শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন অন্তত ২০ বছর জেল খেটেছেন। ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন তখনকার পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তিনবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালের ছয় দফা ও ১৯৬৯ সালের এগার দফা আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন শাহ মোয়াজ্জেম। মহান মুক্তিযুদ্ধেরও অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি স্বাধীনতার স্বপক্ষে বিশ্বজনমত গঠনের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টে টানা আড়াই ঘণ্টা ভাষণ দেন। অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা সে সময়ের জাতীয় নেতাদের অন্যতম ছিলেন শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন প্রবীণ এই রাজনীতিক। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টে প্রথমবারের মতো চিফ হুইপ নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বারের মতো চিফ হুইপ নির্বাচিত হন তিনি। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে আশির দশকে শাহ মোয়াজেম হোসেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব, এরশাদ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ উপনেতা ও উপপ্রধানমন্ত্রী হন। ১৯৯২ সালে জাতীয় পার্টি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। তারপর তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। তিনি দলটির ভাইস-চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সূত্র : দেশ রূপান্তর SHARES জাতীয় বিষয়: