বাংলাদেশ অধিকতর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : সীমান্তে ফের মিয়ানমারের আরো দুটি গোলা এসে পড়ায় বাংলাদেশ অধিকতর সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমরা জানার চেষ্টা করব। আমরা পুরো বিষয়গুলো সার্বক্ষণিক নজরে রাখছি।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ আরাকান আর্মিদের সঙ্গে অন্যদের কিছু মারামারি হচ্ছে। ঘটনাস্থল বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে হওয়ায় মাঝেমধ্যে এখানে চলে এসেছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে ডেকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল।

তখন তিনি আমাদের বলেছেন, এ বিষয়ে তারা (মিয়ানমার) আরো সতর্ক হবে, তাদের সরকার জানাবে, যাতে এ ধরনের কিছু আমাদের এখানে এসে না পড়ে।

আব্দুল মোমেন বলেন, অসমর্থিত সূত্রে ইতিমধ্যে আমরা শুনেছি মিয়ানমারের আর্মি তাদের সীমান্তবর্তী এলাকায় থাকা লোকজনদের এলাকা ছেড়ে দিতে বলেছে। যার ফলে আমাদের ভয়, কিছু লোক আমাদের দেশে চলে আসতে পারে। আমরা এ জন্য আমাদের বিজিপি এবং অন্যান্য আরো যত বাহিনী আছে তাদের ইতিমধ্যে সতর্ক অবস্থায় রেখেছি।

তারা অধিকতর ব্যবস্থা নিয়েছেন, যাতে মিয়ানমারের কোনো নাগরিক আমাদের দেশে না আসতে পারে। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত যাতে মিয়ানমারের নাগরিক কেউ না আসতে পারে। আমরা বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি।

দ্বিতীয় দফায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় পড়ে। এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) বেলা ৩টার দিকে মিয়ানমার থেকে নিক্ষেপ করা দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় ঘুমধুমের তমব্রু উত্তর মসজিদের কাছে পড়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার সময় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপির আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি স্থানে মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান এবং দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার টহল দেয়। সে সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি গোলা ছোড়া হয়।

এ ছাড়া হেলিকপ্টার থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি করতে দেখা যায়। এ সময় সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর আনুমানিক ১২০ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা পড়ে। নাইক্ষ্যংছড়ির ১ নম্বর ওয়ার্ডের তমব্রু বিজিবি বিওপির সীমান্ত পিলার ৩৪-৩৫ এর মাঝামাঝি মিয়ানমার অংশে ২-বিজিপির তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি করা হয়।

এক সপ্তাহের কম সময়ে কয়েক দফায় গোলা এসে পড়ার ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় সীমান্তবর্তী বাংলাদেশিদের মধ্যে এবং রোহিঙ্গা শিবিরে নতুন করে আতঙ্ক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

সূত্র : দেশ রূপান্তর