যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক কাজ করেছেন: তাপস

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০২২

অনলাইন ডেস্ক : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ‘গত ৫০ বছরে ঢাকার উন্নয়নে কোনো পরিকল্পনা নেওয়া হয়নি; যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা শুধু রুটিন ওয়ার্ক কাজ করেছেন। রাজউক বা অন্যান্য উন্নয়ন সংস্থাগুলোর নেওয়া পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছেন।

বুধবার (২০ জুলাই) বেলা ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘রাজধানীর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।

ঢাকা দক্ষিণের মেয়র বলেন, একটি রাজধানী হিসেবে যেমন পরিকল্পনা নেওয়ার কথা ছিল, সেটা নেওয়া হয়নি। যেখানে পরিকল্পনাই নেই, সেখানে বাস্তবায়নের প্রশ্নই আসে না। তারপরও কিছু-কিছু পরিকল্পনা যেগুলো বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে মহাপরিকল্পনা নিয়ে, কীভাবে সেটি বাস্তবায়ন করব, সেদিকে নজর দিয়েছি। আমরা সে লক্ষ্যে ওয়ার্ডভিত্তিক পরিকল্পনা সাজাচ্ছি। আমরা মৌলিক সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ১টি খেলার মাঠ, বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র, সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র ও ১টি করে কাঁচাবাজার স্থাপন করব। ইতোমধ্যেই আমরা বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র ২৪টি থেকে ৫৬টিতে উন্নীত করেছি।

জলাবদ্ধতা প্রসঙ্গে মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে বছরের প্রথম দিন থেকে কাজ করছি। খাল ও ড্রেন সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তের পর খাল ও ড্রেন নিয়মিত পরিস্কার করা হচ্ছে। আর জলাবদ্ধতা প্রবন এলাকা চিহ্নিত করে আমরা কাজ করছি। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ৭০ শতাংশ জলাবদ্ধতা কম হয়েছে। আর ৩০ শতাংশ আধা ঘণ্টার মধ্যে পানি নিষ্কাশন করতে সক্ষম হই।

তিনি বলেন, রাজধানীতে ২৬ টি সেবা সংস্থা রয়েছে। বিগত বছরগুলোতে সংস্থাগুলো বর্ষা মৌসুমে রাস্তা কাটাকাটি করতো। এবার কোন সংস্থাকে বর্ষা মৌসুমে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেইনি। অনেক জায়গা থেকে তদবির হয়েছে, কোন লাভ হয়নি। যেটুকু কাজ হচ্ছে সেটি আমাদের নিজস্ব অবকাঠামো নির্মাণের কাজ।

সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিয়া বলেন, ঢাকায় জনসংখ্যার চাপ যদি কমানো যায় তাহলে বাকি কাজগুলো সহজ হয়ে যাবে। যেমন, ঢাকার আশেপাশের মানুষ যদি প্রতিদিন ঢাকায় এসে কাজ করে আবার নিজ এলাকায় ফিরে যায়, তাহলে চাপ অনেক কমবে।

এ লক্ষ্যে আমরা ৩টি সংযোগ সড়ক যথাক্রমে এয়ারপোর্ট, ৩০০ ফিট, মাদানী এভিনিউ, এই তিনটি পয়েন্ট স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। এটি বাস্তবায়িত হলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো হবে।

সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নগর পরিকল্পনাবিদ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন