সড়ক দুর্ঘটনায় একদিনে সারা দেশে নিহত ৩০ News News Desk প্রকাশিত: ১১:৫২ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৬, ২০২২ অনলাইন ডেস্ক : সারা দেশে শনিবার (১৬ জুলাই) ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত ১১ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে টাঙ্গাইলে আট জন, সিরাজগঞ্জে চার জন, বগুড়ায় চার জন, হবিগঞ্জে তিন জন, ময়মনসিংহে তিন জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই জন, গাজীপুরে দুই জন, নীলফামারীতে একজন, চট্টগ্রামে একজন, দিনাজপুরে একজন, ঝিনাইদহে একজন নিহত হয়েছেন। টাঙ্গাইল টাঙ্গাইলে পৃথকস্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী এলাকায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন, ভোরে মহাসড়কের দুল্যা মনসুর নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় ৪ জন ও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে সড়ক পার হওয়ার সময় ১ পথচারীর মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরমধ্যে জামুর্কী এলাকায় সড়ক পার হওয়ার সময় নিহতরা হলেন, জেলার মির্জাপুর উপজেলার বাশতৈল এলাকার বাসিন্দা মাসুদের স্ত্রী পারভিন আক্তার (২৮) ও তার ছেলে সুমন (৮) ও মেয়ে সাদিয়া (৬)। বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে সড়ক পার হওয়ার নিহত ব্যক্তির নাম মঞ্জুরুল ইসলাম (৪৮)। তিনি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি উপজেলার ধফাদারপাড়ার এলাকার আমির উদ্দিনের ছেলে। জানা গেছে, দুপুরে জেলার মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী এলাকায় এক নারী তার দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে মহাসড়ক পার হচ্ছিলেন। এসময় একটি যাত্রীবাহি বাস এসে তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় ঘটনাস্থলেই ওই নারীর মেয়ে ও হাসতাপালে তিনিসহ তার আরেক ছেলের মৃত্যু হয়। এদিকে, ভোরে মহাসড়কের দুল্যা মনসুর নামক স্থানে ঢাকাগামী দাঁড় করিয়ে রাখা বালুভর্তি ট্রাকের পেছনে যাত্রীবাহী বিনিময় পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই বাসের ৩ যাত্রী নিহত হন। এসময় বাসের আরও ১০ যাত্রী আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে মির্জাপুরের কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পর মহাসড়কে বেশ কিছু সময় ঢাকার দিকে যান চলাচল বন্ধ থাকে। অপরদিকে, বাসযোগে মঞ্জুরুল ইসলাম ঢাকায় যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে পূর্বপাড়ে পৌঁছালে তিনি টয়লেট সারতে বাস থেকে নেমে সড়ক পার হওয়ার সময় একটি বাস তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। এসময় তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের পুলিশ বক্সের ইনচার্জ এএসআই মো. নবিন বলেন, জামুর্কীতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে নিহত হওয়া আরও এক ব্যক্তির লাশ মর্গে রয়েছে। মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, জামুর্কী এলাকায় একই পরিবারের ৩ জন হেঁটে সড়ক পার হওয়ার সময় একটি বাস এসে তাদের চাপা দেয়। এঘটনায় ঘটনাস্থলে একজন ও হাসপাতালে ২ জনের মৃত্যু হয়। গোড়াই হাইওয়ে থানার (ওসি) মোল্লা টুটুল বলেন, মহাসড়কের দুল্যা মনসুর নামক স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে বাসের ধাক্কায় ৪ জন নিহত হয়েছে। এঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খালকোলায় দুটি ট্রাকে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় চার জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার খালকোলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো, রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার উত্তর জামালপুর গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুল আজিজ (৪০) ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার কাদিমপাড়া গ্রামের মৃত মনছের আলীর ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৩৫)। এরা বাসের যাত্রী ছিলেন। এ ছাড়া হাসপাতাল নেওয়ার পর ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নাটোর সদরে। সন্ধ্যায় স্থানীয় ওহী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাহফুজুল আলম জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রাক চালককে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয়রা। এখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিকেলে নাটোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে তার মৃত্যু হয়। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান জানান, দুপুরে কুষ্টিয়া থেকে ঢাকাগামী আরপি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে দাঁড়ানো ট্রাকে ধাক্কা দেয়। পরে বাসটি আরেকটি ট্রাকেও ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিন জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা ট্রাকচালকে স্থানীয় ওহী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও বাস উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি মো. লুৎফর রহমান। বগুড়া বগুড়ার কাহালুতে প্রাইভেটকার ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে বগুড়া-সান্তাহার মহাসড়কের কালিয়াপুকুর নামক স্থানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আমবার হোসেন। নিহতরা হলেন তানছের আলী মাস্টার ও তার ছেলে ফজলে রাব্বি টগর, কাঠ ব্যবসায়ী মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান বিজয় এবং প্রাইভেট কার চালক সুমন হোসেন। নিহতরা প্রত্যেকেই নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন। তাদের মধ্যে তানছের আলী মাস্টার ধামইরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তানছের আলী মাস্টার ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তার চিকিৎসার জন্য শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে তারা ধামইরহাট থেকে প্রাইভেট কারে বগুড়া যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের সামনে কালিয়াপুকুর নামক স্থানে নওগাঁগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় প্রাইভেটকারটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারের চালক সুমন, ক্যান্সারে আক্রান্ত তানছের আলী ও তার ছেলে টগর মারা যান। এসময় আহত হন আব্দুর রহমান ও শাকিল নামের দুই জন। খবর পেয়ে কাহালু ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় এবং নিহতদের কাহালু থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। মেডিক্যালে নেওয়ার পর আহত আব্দুর রহমানকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শাকিলের অবস্থা স্বাভাবিক রয়েছে। কাহালু থানার অফিসার ইনচার্জ আমবার হোসেন জানান, ঘটনার পরপরই পিকআপ চালক এবং চালকের সহযোগী পালিয়ে গেছেন। তবে পিকআপ এবং প্রাইভেট কার উদ্ধার করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। নিহতদের লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। হবিগঞ্জ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের চাপায় অটোরিকশার তিন যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে উপজেলার আউশকান্দি এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের মৃত আবুল মিয়ার স্ত্রী বকুল বেগম (৫০), আবুল মিয়ার ভাতিজা জাবেদুর রহমান (৩৮) ও একই উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের কাচা মিয়ার ছেলে রব্বান মিয়া (৪৮)। শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পরিমল দেব বলেন, সিলেটগামী মিতালী পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার যাত্রী বকুল বেগম মারা যান। তিনি আরও বলেন, ‘স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় রব্বান মিয়াকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত জাবেদুর রহমানকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারও মৃত্যু হয়। ময়মনসিংহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ একই পরিবারের ৩ জন নিহত হয়েছেন। এসময় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর গর্ভে থাকা সন্তান (মেয়ে শিশু) রাস্তায় ভূমিষ্ঠ হয়। দুর্ঘটনায় বাচ্চাটির একটি হাত ভেঙে গেলেও সে সুস্থ আছে। শিশুটি বর্তমানে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার রায়মনি এলাকার জাহাঙ্গীর আলম (৪২) তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার (২৬) ও তাদের কন্যা সন্তান সানজিদা (৬)। ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাঈন উদ্দিন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর-রত্না দম্পতি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার উদ্দেশ্য মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে ত্রিশালে আসেন। পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই স্বামী, স্ত্রী ও সন্তান মারা যান। এসময় অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর গর্ভে থাকা সন্তান রাস্তায় ভূমিষ্ঠ হয়। বাচ্চাটি বর্তমানে কমিউনিটি বেজড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ ওসি আরও বলেন, ‘ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়েছে। বর্তমানে রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। এসময় অটোরিকশার আরও চারযাত্রী আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার উজানিসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের মজলিশপুর গ্রামের বাসিন্দা অটোরিকশাচালক চাঁন মিয়া (৫০) ও অটোরিকশা যাত্রী কসবা উপজেলার খাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন (৪৫)। আহতরা হচ্ছেন- নিহত বিল্লালের ভাতিজা শাকিল মিয়া (৩১), শাকিলের স্ত্রী মিতু বেগম (২৪) ও মা শিরিন বেগম এবং পুলিশ কনস্টেবল হাসিবুল হোসেন। স্থানীয় লোকজন ও আহত যাত্রীরা বলেন, শনিবার (১৬ জুলাই) সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার খাড়েরা এলাকা থেকে অটোরিকশায় বিল্লাল, শাকিল, মিতু, শিরিন জেলা শহরের উদ্দেশে রওয়ানা হন। ভাটামাথা তন্তর এলাকা থেকে অটোরিকশায় উঠেন পুলিশ সদস্য হাসিবুল। মহাসড়কের সদর উপজেলার উজানিজার পৌঁছলে বিপরীতমুখী প্রাইভেট কারের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পরপরই আহত যাত্রী বিল্লাল হোসেন মারা যান। বেলা ১টার দিকে আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশাচালক চাঁন মিয়াও মারা যান। খাঁটিখাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দ্র বসু সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, দুর্ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দুর্ঘটনাকবলিত দুটি যান উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুর গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন নিহত হয়েছেন। ভোরে মহানগরের পুবাইলের বসুগাঁওয়ে ট্রাক-লেগুনা সংঘর্ষে একজন এবং একই এলাকার সুকুন্দিবাগ ব্রিজ এলাকায় দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। পুবাইল থানা পুলিশের এসআই আবুল কাশেম জানান, পুবাইলের বসুগাঁও-এ ভোর চারটার দিকে টঙ্গীগামী ট্রাকের সঙ্গে উল্টোপথে আসা নরসিংদীগামী লেগুনার সংঘর্ষ হয়। এতে লেগুনার ১২ যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে মনিরুজ্জামান (৩৮) নামে একযাত্রী মারা যান। অন্য আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সকাল সাড়ে আটটায় পুবাইলের সুকুন্দিবাগ ব্রিজ এলাকায় দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ইব্রাহিম হোসেন (৩৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। ইব্রাহিম নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার ইদ্রিস আলীর ছেলে। পুবাইল থানা পুলিশের এসআই জাহাঙ্গীর মাহমুদ জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় অটোরিকশা দিয়ে জয়দেবপুর থেকে টঙ্গী যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম। এসময় তাকে বহনকারী অটোরিকশাটি সুকুন্দিবাগ ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি অটোরিকশার সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দুই অটোচালক আহত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার টেংগনমারী-মীরগঞ্জ সড়কের বটতলা শান্তিনগর বাজারে বেপরোয়া গতির একটি ট্রাকের চাপায় এক ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ভ্যানচালকের নাম আজিজুল হক (৪৫)। তিনি জলঢাকা উপজেলার আরাজি কাঠালি বালাপাড়া এলাকার মৃত তৈয়ব আলীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে জলঢাকা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক নুরুল হক বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি। ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পলাতক রয়েছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চট্টগ্রাম চট্টগ্রামের ভূজপুর থানার মির্জারহাট এলাকায় পিকআপ-সিএসজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তার দুই সন্তানসহ মোট তিন জন আহত হয়েছেন। সকালে গহিরা-হেঁয়াকো সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত নারী শারমিন আক্তার (২৮) ভূজপুর উত্তর শৈলকূপা এলাকার আবু তাহেরের স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূজপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারাধন দাশ। তিনি বলেন, মির্জারহাট এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে স্থানীয়রা চারজনকে উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক শারমিন আক্তার নামের একজনকে মৃত ঘোষণা করেন। শারমিনের সন্তানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দিনাজপুর খানসামা উপজেলায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। দুপুর একটার দিকে উপজেলার ব্র্যাক শাখা অফিসের সামনের এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত মোটরসাইকেল চালক জাকির হোসেন (২৬) উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের একরামুল মেম্বার পাড়ার তফসের আলীর ছেলে । স্থানীয়রা জানায়, জাকির হোসেন খানসামা বাজার থেকে আমতলী বাজার যাওয়ার পথে ট্রাকের ধাক্কায় গুরুতর আহত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন প্রথমে খানসামা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খানসামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খানসামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্তরঞ্জন রায় সড়ক দুর্ঘটনায় একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে সবজি বিক্রি করতে গিয়ে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও ৪ জন। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান হোসেন উপজেলার খোসালপুর গ্রামের মৃত আজিবর রহমানের ছেলে। কালীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা জানান, সকালে বাড়ি থেকে সবজি নিয়ে আলমসাধুযোগে অন্যদের সঙ্গে উপজেলার বারোবাজারে যাচ্ছিলেন খোসালপুর গ্রামের কৃষক লোকমান হোসেন। পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলমসাধুটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়ে লোকমান হোসেনসহ আরও ৪ জন গুরুতর আহত হয়। সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে নেওয়া হলে লোকমান মারা যান। আহতদের কালীগঞ্জ ও যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সূত্র : রাইজিংবিডি.কম SHARES জাতীয় বিষয়: