
অনলাইন ডেস্ক : ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যে সারাদেশে রোববার (১০ জুলাই) উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় সামর্থ্যবান মুসলমানেরা ত্যাগের মহিমায় পশু কোরবানি দিয়েছেন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও ধর্ম প্রাণ মুসলমানগণকে পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে। পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণেই অনেকে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
সোমবার (১১ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর মিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি দিতে দেখা গেছে।
নগরবাসী জানিয়েছেন, পেশাদার কসাইয়ের সংকট এবং ঈদের দিনে একটু ঝামেলা এড়াতেই তারা আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা সাবিনা বেগম বলেন, আমার এবং আমার আরেক প্রতিবেশী আজাদ সাহেব আজ গরু কোরবানি দিচ্ছি। আমরা পেশাদার কসাইয়ের সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি। আমরা মৌসুমি কসাই দিয়ে গরু কোরবানি দেব না বলেই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা এ কে আজাদ বলেন, ঈদের দিন কসাই সংকট ও কসাইয়ের দরও অনেক বেশি ছিল তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি।
ঈদের দিন গরু কিনেছেন তাই সেদিন কোরবানি দিতে পারেন নি। তাই আজ কোরবানি দিচ্ছি বলে জানালেন ফার্মগেট রাজাবাজার এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের আগের দিন গরু কিনতে পারেনি। ঈদের দিন গরু কিনে বাড়ি ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। কসাই ঠিক করতে পারিনি। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।
এদিকে ঈদের পরের দিন হওয়ায় কসাইয়ের রেটও কমেছে। গতকাল হাজার প্রতি ২০০ থেকে ২৫০টাকা নিলেও আজ সেটি ১৫০ থেকে ১০০ টাকায় নেমে এসেছে।
এ ব্যাপারে মিরপুরের মিরপুরের পেশাদার কসাই সুমন মিয়া বলেন, ঈদের দ্বিতীয় দিন হওয়ায় আজ আমাদের রেট অর্ধেক এ নেমে গেছে।
তিনি বলেন, ঈদের দিন ১০টি গরু কেটেছি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হাজারে নিয়েছি। অথচ আজ হাজারে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা নিচ্ছি। আজ এ নিয়ে দুটি গরু কেটেছি। এটির পর আরও দুটি গরু কাটার অর্ডার রয়েছে।
সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম