দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল না: সেতুমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৮:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৭, ২০২৪

অনলাইন ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাতানো ছিল না বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের যৌথসভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন পাতানো ছিল না। নামিদামি অনেক দেশ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে। এমনকি নির্বাচনের পর অনেক দেশ অভিনন্দন জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরোধী দল বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে এ রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালি ফসল আমরা ঘরে তুলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ দেশে ভালো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন। যাকে নিয়ে আপনারা আমাদের কত রং দেখালেন, কত জাদুই না দেখালেন, সেই মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাহেব অভিনন্দন জানিয়েছেন।

এখন কাকে নিয়ে খেলবেন? কাকে নিয়ে আর এটা করবেন, ওটা করবেন? এখন স্বপ্ন দেখছেন কখন বিশাল নিষেধাজ্ঞা, কখন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে, কখন নিষেধাজ্ঞা আসবে। রোজ কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধরুন।

টিআইবির বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা কি পাতানো নির্বাচন ছিল? আপনার কী মনে হয়? পৃথিবীর নামিদামি গণতান্ত্রিক দেশগুলো বাংলাদেশের নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হয়েছে—এ কথা বলে প্রশংসা করে কেন? আমাদের আশেপাশে কেউ বাকি নেই। পাকিস্তানের হাইকমিশন পর্যন্ত আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।

বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া বহু দেশ নির্বাচিত সরকারকে নিয়ে প্রশংসা করছে। শুধু নির্বাচনে এলে হেরে যাবে, এই কারণে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে তারা অনেক কথা বলেছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে। দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নিজেদের অফিসে তালা মেরে বলে, সরকার তাদের অফিসে তালা লাগিয়েছে। আবার তাদের অফিসের তালা তারাই ভেঙে গেছে। তারা অফিসে তালা লাগাতে পারে আবার ভাঙতেও পারে।
আছে পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে আর উল্টোপাল্টা বলে কোনো লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে। পাঁচ বছর পর আবার ১০ ডিসেম্বর, আবার ২৮ অক্টোবরের অপেক্ষা করুন। নির্বাচনের ট্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। পাঁচ বছর পর আবার চালু হবে। বিএনপিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।

যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাড. কামরুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ডা. দীপু মনি প্রমুখ।

সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম