বরিশাল বিএম কলেজের আবাসিক হলের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়ে আহত ২ ছাত্র

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : ছাদের সিলিংয়ের পলেস্তরা খসে পড়ে বরিশাল বিএম কলেজের আবাসিক হলের দুই ছাত্র আহত হয়েছে। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিএম কলেজ ক্যাম্পাসের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাসের (ডিগ্রি হল) ‘এ’ ব্লকের ২০৮ নম্বর কক্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত রেজাউল করিম বলেন, শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন ৪ ছাত্র। রাত ৩টা ২০ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে ছাদের সিলিংয়ের পলেস্তরার বিশাল অংশ খসে পড়ে। এতে তিনি (রেজাউল করিম) ও মমিনুল আহত হন। মশারি সাটানো থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তারা। ওই কক্ষে বসবাসের কোনো অবস্থা নেই বলে তিনি জানান।

এদিকে এ ঘটনায় ওই ছাত্রাবাসের অন্যান্য কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝেও আতংক দেখা দিয়েছে। খবর পেয়ে আজ সকালে কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. গোলাম কিবরিয়া এবং হল সুপার বাংলা বিভাগের এমএস আসাদুজ্জামান ওই ছাত্রাবাস পরিদর্শন করেন। অধ্যক্ষ কক্ষটি পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে বলেন।

বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে ৪টি পৃথক ভবনের সমন্বয়ে অশ্বিনী কুমার ছাত্রাবাস নির্মিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ভবনগুলো নির্মিত হয়েছে। ৪টি ভবনের মধ্যে একটি চারতলা, ২টি ৩ তলা এবং ১টি একতলা ভবন। জরাজীর্ন হওয়ায় কর্তৃপক্ষ ইতিপূর্বে ‘বি’ ব্লকের একাংশ থেকে শিক্ষার্থীদের সরিয়ে নিয়েছে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘এ’ ব্লক অর্থাৎ তৃতীয় তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার ছাদের সিলিংয়ের একাংশ খসে পড়ে। এর আগেও বিভিন্ন সময় কক্ষ ও বারান্দার সিলিংয়ের অংশ বিশেষ খসে পড়ে। এতে বহু ছাত্র আহত হয়। সব শেষ শনিবার রাতে মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায় ৪ ছাত্র।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ছাত্রবাসের হল সুপার এমএম আসাদুজ্জামান বলেন, ছাত্ররা ঘুমিয়ে ছিলো। রাত ৩টার দিকে ছাদের অনেকটুকু জায়গা নিয়ে পলেস্তরা খসে পড়েছে।

মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা হয়নি। তবে হতে পারতো। একটা ছাত্র আহত হইছে। সে যদি উল্টো দিকে মাথা দিয়ে ঘুমাতো হাতলে মারাত্মক কিছু হয়ে যেত। শিক্ষা প্রকৌশলী বিভাগে খবর দেয়া হয়েছে। ওনারা সোমবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।

আর কত দুর্ঘটনা ঘটলে কর্তৃপক্ষ সতর্ক হবে জানতে চাইলে বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমরা সতর্ক আছি। ইতিপূর্বে ‘বি’ ব্লকের ছাদের পলেস্তরা খসে পড়েছিলো। আমরা সেখান থেকে ছাত্রদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছি। শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘এ’ ব্লকের যে কক্ষে সিলিং খসে পড়েছে সেখান থেকেও ছাত্রদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সোমবার সকালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিপ্তরের কর্মকর্তারা হল পরিদর্শনে আসবেন। তারা এসে যদি দেখেন রিপেয়ার করলে হবে তাহলে তারা রিপেয়ার করবেন। নতুবা পুরনো হল ভেঙ্গে ফেলে নতুন হল নির্মাণ করা হবে। নতুন হলের জন্য মন্ত্রণালয়ে আগেই বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন