দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কথা বলা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কথা বলা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়ে গেছে। এটা বন্ধ করা উচিত। এখন সময় এসেছে এটা বন্ধ করার।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘দেশ এগিয়ে চলেছে’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর রোম সফরে ইউরোপে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতদের নিয়ে বৈঠকের কথা, সম্প্রতি ১৩টি মিশন প্রধানকে ডাকাসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেয় ঢাকার ১৩টি মিশ‌ন। সেই বিবৃতিতে ঢাকার ইতালি মিশনও ছিল। প্রধানমন্ত্রীর রোম সফরে সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যায়ে কোনও অসন্তোষ জানানো হয়েছে কিনা- জানতে চাওয়া হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে।

জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এটা নিয়ে কিছু বলিনি। এটা ভদ্রতার জায়গা। আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) ময়লা এগুলো নিয়ে আলাপ করবেন। দে শুড আন্ডারস্ট্যান্ড। আমরা এটা নিয়ে আলাপ করিনি। আর আপনারা সবসময় ময়লা খোঁজেন। আপনাদের অভ্যাসটা খারাপ হয়ে গেছে।

এসময় তিনি মিডিয়াকে দুষে রাষ্ট্রদূতদের মাতব্বর বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, মিডিয়ার কারণে ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি অ্যাকটিভ রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাতব্বরি করেন। ভালো জিনিস দেখবেন। এটা আপনাদেরও (গণমাধ্যমকর্মী) কারণে।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের কথা বলা সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন মোমেন। তিনি বলেন, সাম হাউ এটা একটা কালচার তৈরি হয়েছে অনেকদিনের। এটা বন্ধ করা উচিত। এখন সময় এসেছে এটা বন্ধ করার।

এর দায় কি রাজনীতিবিদের নেই? প্রশ্ন করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অনেক দিন থেকে কালচার এটা তৈরি করেছেন। আমরা এ কালচারটা পছন্দ করি না।

অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশিদের বক্তব্য বা হস্তক্ষেপ বন্ধে সরকার কোনও উদ্যোগ নিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর রোম সফরে ইউরোপে নিযুক্ত বাংলাদেশি দূতদের নিয়ে বৈঠকের কথা তুলে ধরেন। মোমেন বলেন, আমাদের দেশের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে একটা বৈঠক করেছি।

সেখানে আমরা বলেছি, আমাদের দেশ সম্পর্কে অনেক দেশের জ্ঞান সীমিত। আমরা বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার, গণতন্ত্র, নির্বাচন প্রক্রিয়া, নির্বাচন কমিশন এ সব নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রায় ১০টি বিশেষ ব্রিফ তৈরি করেছি। আমরা বলেছি, আপনারা এটা শেয়ার করেন।

ড. আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা আগুনসন্ত্রাসী নিয়েও বই তৈরি করেছি। আমরা বলেছি, আপনারা (বাংলাদেশি দূত) এগুলো বিদেশিদের জানাবেন। তাতে তারা আহাম্মকের মতো হঠাৎ করে বিবৃতি দেবে না।

তিনি বলেন, কেউ একজন গিয়ে তাকে ধরলো আর তিনি না জেনে একটা বক্তব্য দিয়ে দিলেন। কখনো কখনো কেউ তার ফান্ডে পয়সা দিলেন, তার পক্ষে বলে ফেললেন। আমরা বলেছি এজন্য আপনাদের একটা বড় দায়িত্ব আপনারা তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আমাদের বড় বড় ইস্যু সম্পর্কে তাদের জানাবেন। তাহলে এ ব্যাপারে তাদের জ্ঞান বাড়বে।

ইতালিতে নতুন কর্মী নেওয়ার ক্ষত্রে কোনও সমঝোতার ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা নতুন একটি প্রস্তাবনা আমাদের দিয়েছে। আমরা সেই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছি। পরে এটা সই হবে দ্রুত। আমরা দুইটা এমওইউ সই করেছি সেখানে। তবে ওটা এখনও হয়নি। কারণ তা এখনো আলাপ-আলোচনার মধ্যে আছে।

সূত্র : রাইজিংবিডি.কম