বিএনপির নেতারা আশার মালা গেথে প্রহর গুণছে : সেতুমন্ত্রী News News Desk প্রকাশিত: ৭:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০২৩ অনলাইন ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বাংলাদেশ। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন। সারা বাংলাদেশে আজ দফা একটা। স্লোগান একটা-শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। বুধবার (১৯ জুলাই) মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘শান্তি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের সাতরাস্তার মোড়ে এই শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, জনতার ঢল দেখতে চান? বলি সাত রাস্তায় আসেন। জনতার ঢল কাকে বলে দেখে যান। শুধু মানুষ আর মানুষ। লক্ষ লোকের সমাবেশ। অভূতপূর্ব দৃশ্য। আজকের সভাই বলে দিচ্ছে বাংলার মানুষ কি চায়। তারা শেখ হাসিনার বাংলাদেশ চায়। তিনি আরও বলেন, বিএনপির নেতারা আশার মালা গেথে প্রহর গুণেছে কখন আসবে উজরা জেয়া, কখন আসবে ইউইউ প্রতিনিধিরা। আমেরিকা বলে দিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বিএনপি চেয়েছিল শেখ হাসিনা ছাড়া নির্বাচন। আমেরিকা বলে গেছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সংবিধানের নিয়ম আমেরিকাও বলেছে। ইউইউও বলেছে। এসব শুনে বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মানুষের শক্তি যখন কমে তখন তার মুখের জীহ্বা বেড়ে যায়। দুনিয়ার যত গালিগালাজ। যত বিশ্রী কথা। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকেও সম্মান দিতে জানে না। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। এখন সব দোষ শেখ হাসিনার। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন করতে হবে। এটাই তাদের জ্বলার কারণ হয়ে গেছে। এমনিতেই পদ্মা সেতুর জ্বালায় মরছে। আড়াই ঘণ্টাই বরিশাল। জীবনে কোনোদিন মেট্রোরেল দেখে নাই। এই বিএনপির নেতারা জীবনে কিছুই করে নাই। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল মেট্রোরেল চলবে আগামী তিন মাসের মধ্যে, মেট্রোরেল করেছে শেখ হাসিনা। এটা তাদের সহ্য হয় না। এসব দেখে বুঝে ফেলেছে নির্বাচনে কি হবে। নির্বাচনে হেরে যাবে এই কথা ভাবতেই তাদের মন খারাপ। পদযাত্রা করতে গিয়ে খাগড়াছড়িতে হামলা করে। বগুড়ার স্কুল ছাত্রীদের ককটেল মারে। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা মাথা গরম করবেন না। ওদের মাথা গরম। ওরা পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করতে চায়। আমরা শান্তি চাই। শান্তি যত থাকবে আমাদের ভোট তত বাড়বে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে, বিএনপির বিরুদ্ধে, অর্থপাচারের বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ফাইনাল খেলা ডিসেম্বরে। তৈরি হয়ে যান। আসেন বিএনপি নেতারা। জনগণের শক্তি একদিকে। সন্ত্রাসের শক্তি আরেক দিকে। বিএনপি এখন সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে সেটা আপনাদের বিষয়। কিন্তু বাধা দিতে আসলে আমরা জনগণ তা প্রতিহত করবো। নির্বাচনে বাধা দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই। বাংলার জনগণ বিএনপির ভুয়া রাজনীতি চায় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এত দফা দিলেন। তারপরও ভয় কেন? ৫৪ দল, তারপরে আবার ৩৭ দল। এখন আবার বলে ৩৬ দল। একবার বলে ২৭ দফা। আবার বলে ১০ দফা। এখন আবার বলে এক দফা। সব ভুয়া। আগামী কয়েক মাসে মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনকে ঘিরে বিএনপির অন্তর্জ্বালা বেড়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ঘুম নাই। এত উন্নয়ন কিভাবে ঠেকাবে। একদিনে একশ সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী মাসে আরও একশ সেতু উদ্বোধন করবেন তিনি। তিনি বলেন, বিএনপির কাজ-কর্ম নেই। ক্ষমতায় ছিল। বিদ্যুতের জায়াগায় দিয়েছে খাম্বা। আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। এই সরকারের আমলে নারীদের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মহিলারা জানে। ঘরে ঘরে টিভি দেখে। মহিলাদের এত সম্মান আগ ছিল না। মহিলারা এখন সচিব, বিচারপতি, সংসদের স্পিকার, ডিসি, এএসপি। সন্তানদের উপবৃত্তির টাকা এখন মায়েদের কাছে যায়। তিনি বলেন, আগে মহিলাদের মাতৃ পরিচয় ছিল না। পিতার নামে সন্তানরা পরিচিত হতো। শেখ হাসিনা বললেন, যে মা এত কষ্ট করে সন্তান জন্ম দেয় সেই মায়ের নাম বাবার পাশে থাকতে হবে। মহিলারা এখন বলে, আমাদেরকে বঙ্গবন্ধু কন্যা এত সম্মান দিয়েছেন। কত রকমের ভাতা আমরা পাচ্ছি। এর প্রতিদান তারা দেবেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। মাঝে কয়েক দিন অসুবিধা হয়েছিল। বিএনপি তো ভেবেছিল, মাথায় বোধহয় আকাশ ভেঙে পড়েছে। শেখ হাসিনা তিন ঘণ্টা ঘুমিয়ে বাকি একুশ ঘণ্টা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করেন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা এমনই এক নেতা যে মানুষের কষ্টকে নিজের কষ্ট মনে করে। আমাদের এরকম নেতা দরকার। বিএনপিকে উদ্দেশে করে তিনি বলেন, মান সম্মান রাখতে চাইলে আন্দোলন ছেড়ে নির্বাচনে আসেন। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের মান সম্মান রাখবে না। গত বছর পেয়েছে ৭টা আসন। এবার যে কি হবে কে জানে! বিএনপি ভোট পাওয়ার মতো কোনো কাজ করেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফখরুলকে জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের কাজটা কি? আওয়ামী লীগের তো কাজ আছে। শেখ হাসিনা উন্নয়ন করেছে। কোন মুখে ভোট চাও? খালি মুখে ভোট বাংলার মানুষ আর দেবে না। মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। এতে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মাহবুবুল আলম হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাদেক খান এমপি, নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শীলা, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান এমপি, ঢাকা-১৭ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এ. আরাফাত, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল প্রমুখ। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন SHARES জাতীয় বিষয়: