কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে : সেতুমন্ত্রী

News News

Desk

প্রকাশিত: ১১:৩৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১০, ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক : সব জায়গায় রাজনীতিকরণের সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘সব জায়গাই পলিটিক্স করতে চায়! কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখতে হবে।

শুক্রবার (১০ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনীতে উপস্থিত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। হলটির প্রাক্তন আবাসিক শিক্ষার্থী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন। সকালে পুনর্মিলনীর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান সকাল ১০টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও প্রধান অতিথির জন্য অপেক্ষার কারণে ১১টার পর শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এখানে দেখছি প্রধান অতিথির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করে বসে আছেন, সবাই ব্যস্ত মানুষ। এই অপবাদ তো প্রধান অতিথি হিসেবে আমি নিই না।

আমি তো সময়মতোই আসব। আমার সাথে সেরকমই কথা হয়েছে। কেন এদের বসিয়ে রাখলেন? আমার নামে কেন মিথ্যা বললেন? এ সময় অনুষ্ঠানের সার্বিক পরিবেশ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের এই সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘এই পরিবেশটা আমার কাছে অ্যালামনাইয়ের পরিবেশ বলে মনে হচ্ছে না।

এখানে এক ধরনের কুশল বিনিময়, স্মৃতিচারণ, আড্ডার পরিবেশ হবে। এ আড্ডাটা টিএসসিতেই ভালো মানায়। ভেতরে কথা-বার্তা হবে। বাইরে আড্ডা হবে। এটা বড় জায়গা হিসেবে পছন্দ করলেন। কিন্তু এটা কি অ্যালামনাইয়ের পরিবেশ?

ওবায়দুল কাদের অ্যালামনাইয়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘অ্যালামনাই যদি করতে চান, নন-পলিটিক্যাল (অরাজনৈতিক) বানান। সব জায়গাই পলিটিক্স করতে চায়। কিছু কিছু জায়গা রাজনীতি থেকে বাইরে রাখবেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলে আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রিত অনুষ্ঠান, এটা অ্যালামনাইয়ের চরিত্র হওয়া উচিত না।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, মুহসীন হল দেখেছি গ্যালাক্সি অব ট্যালেন্ট। এখানে বিভিন্ন দলের লোক ছিলেন। কিন্তু আপনি অ্যালামনাই করবেন একদল দিয়ে, এটা হবে না। এই একটা জায়গা নন-পলিটিক্যাল রাখবেন।

আমি পলিটিক্যাল সায়েন্সেস বিভাগের অ্যালামনাইতে গিয়েছি। তারা কিন্তু এটা মেইনটেইন করেছে। সবাইকে দাওয়াত দিন, সবাই কথা বলুক। প্রধান অতিথির কোনো দরকার নেই। আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবে। পুরোনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করব, হাসিখুশিতে সময়টা কাটিয়ে দেব।

বক্তৃতার সম্বোধনে দীর্ঘ সময় ব্যয় করা নিয়েও আপত্তি জানান ওবায়দুল কাদের কাদের । তিনি বলেন, নাম বলতেই তো সময় সব শেষ। বিশেষ করে রাজনীতিতে। এতো বিশেষণ! বিশেষণ বলতে বলতে সর্বশেষ পরিচয়টাও ভুলে যায়। বক্তৃতা দিতে কাউকে পাঁচ মিনিট দিলে বিশেষণ বলতে বলতে সময় শেষ হয়ে যায়। তিনি কে ছিলেন, কী ছিলেন, ভবিষ্যতে কী হবেন, সব বলেন। সব তুষ্ট করা, এসব প্রবণতা বাদ দিন।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা নুরুল ফজল বুলবুল এবং হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইস্তাক আহম্মেদ শিমুল। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে হলের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন